ঈদের আগে জামিন না পাওয়ায়
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরে ঈদকে সামনে রেখে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর এই আনন্দের ছেদ পড়েছে। পরিবারগুলোতে ঈদ আনন্দের বদলে বিরাজ করছে হতাশা, দুঃখ, গ্লানি। জেলখানার চার দেয়ালে কাটবে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর এবারের ঈদ।
ঈদের আগে জামিন প্রত্যাশা করে আবেদন করলেও অনেকেই জামিন মেলেনি। অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ঈদের আগে জামিনের আশায় আত্মসর্মপণ করেছিলেন। কিন্তু তাদের জামিন হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন মামলায় আগাম জামিন শেষে হাজিরা দিতে গিয়ে গেছেন কারাগারে। এমনকি দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরে কারাগারের। কবে তাদের মুক্তি মিলবে জানে না রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা পরিবার। ঈদ আনন্দ আবার কবে ভাগাভাগি করতে পারবেন তারা তাও বলতে পারেন না কারাবন্দী এই নেতারা। এমনকি অনেকের সন্তান জন্ম নিয়ে বড় হলে একবারের জন্য ঈদ করতে পারেনি বাবার সাথে।
বিএনপি সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পর রাজপথে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি শুরু করে দলটি। আর এ কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশে চলে গণহারে গ্রেফতার অভিযান।
বিএনপির দাবি, ওই সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ প্রায় ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বেশিভাগ সিনিয়র নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তবে নতুন করে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে অনেককেই কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে, ফলে নতুন পুরনো মিলিয়ে এখন এক হাজার ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী এখন কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।