ইমরান খান ও বুশরা ফের ১৫ দিনের রিমান্ডে

নাদিম মাহমুদ

রিপোর্টার

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪ , ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২১, ২০২৪ , ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৫ দিনের বিচারিক হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত। সোমবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) সংক্রান্ত নতুন একটি মামলায় শুনানি নিয়ে বিচারক রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তারা সোমবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ৮ আগস্ট তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।

মামলার শুনানি চলার সময় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন ইমরান খান ও বুশরা। ইদ্দত মামলায় ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত খালাস দেওয়ার পরপরই তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে এই তোশাখানা মামলা করা হয়।

এদিকে পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী ক্ষমা চাইতে বলেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি নিজেই। শনিবার আদিয়ালা কারাগারে বসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন ইমরান। কয়েকজন সাংবাদিক কারাগারের ভেতর স্থাপিত আদালতে ইমরান খানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, ৯ মের সহিংস বিক্ষোভের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সেনাবাহিনী ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তিনি ক্ষমা চাইবেন কিনা, জানতে চান সাংবাদিকরা। তাদের প্রশ্নের উত্তরে ইমরান খান বলেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ নেই।

গত বছরের ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে তাঁর সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলার জন্য ইমরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলে সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে একজন সার্বক্ষণিক মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে রেঞ্জার্সরা তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু ৭ মে থেকেই আইএসপিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেছিলেন, পিটিআইর সঙ্গে যে কোনো সংলাপ হতে পারে যদি দলটি তার ‘নৈরাজ্যের রাজনীতি’র জন্য ক্ষমা চায়। কিন্তু বারবার ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন ইমরান। ওই সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপে বসতেও রাজি ছিলেন না ইমরান। তবে সম্প্রতি তিনি তাঁর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এখন সরকার নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা একটি নিরর্থক অনুশীলন। তাই তিনি শুধু ‘প্রকৃত কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গেই আলোচনা করবেন।

এর আগে পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ। তার গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন আখ্যায়িত করে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। এক মতামতে জেনেভাভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন বলেছে, বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করার প্রতিকারস্বরুপ ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাঁকে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি একটি কার্যকর অধিকার নিশ্চিত করা উচিৎ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
top