আদালতে কাঁদলেন দীপু মনি, হামলা

নাদিম মাহমুদ

রিপোর্টার

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪ , ১২:৫০ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২১, ২০২৪ , ১২:৫০ অপরাহ্ণ

মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চার দিন এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলা তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। গারদখানা থেকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় দীপু মনিকে কাঁদতে দেখা যায়, তবে জয় ছিলেন চুপচাপ। তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন লোক দীপু মনিকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর তাদের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। দীপু মনির কান্না তখনো থামেনি। এ সময় জয় কিছু বলতে চান। আদালত কথা বলার অনুমতি দেননি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের আদালত থেকে বের করে হাজতে নেওয়া হয়।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিমকে হত্যার ঘটনার বিষয়ে আসামিরা জ্ঞাত আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ হত্যার হুকুমদাতা, উসকানিদাতা ব্যক্তি ও তাদের নামসহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গত সোমবার রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে ডা. দীপু মনিকে এবং ধানমন্ডি থেকে আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন। গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম মামলা।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। মামলার সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
top