যত দিন আছি দেশকে সংস্কার করে যাব: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪ , ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪ , ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, আমরা কেউ রাজনীতি করতে আসিনি, আমরা রাজনীতিতে থাকবও না। যতদিন আছি পুরো সিস্টেমের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করে যাব। যাতে সরকারি কর্মকর্তা আর জনগণের মধ্যে পার্থক্য না থাকে।তিনি বলেন, আমরা সব জায়গায় সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। সব সংস্কার সম্পন্ন হলেই আমরা চলে যাব। সবাই মিলে এবার দেশটাকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখব এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব। আমরা দেশটাকে নতুন করে বানাতে চাই, কোনোভাবেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মানুষের সেবা করার সুযোগ বারবার আসে না। মানুষের সেবা করার উপর আর কিছু নেই। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ আমরা সবাই এক। আমাদের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। যা অন্যায়, অবিচার ছিল বুকের রক্ত দিয়ে অতিক্রম করে এখানে এসেছি।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, তরুণরা এই বন্যায় এগিয়ে আসছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। আমাদের রিসোর্সের অভাব নেই। অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান আছে তারা কাজ করতে আগ্রহী। দেশ আমাদের সবার, তরুণদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এমন দেশ পৃথিবীতে আর একটাও নেই। এই দেশকে আমরা নানা কারণে দরিদ্র করে রেখেছি। সব থেকে বড় বিষয় হলো আমাদের মানসিক দরিদ্রতা। আমরা এটা কাটাতে চাই।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ হচ্ছে অবৈধভাবে খাল দখল। কিছু মানুষ অবৈধভাবে খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও দোকান নির্মাণ করছে। কতিপয় অবৈধ দখলদারদের কারণে জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে। দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা থাকায় জেলায় গো-খাদ্যের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্য, শুকনা খাবার, প্রসূতি মায়ের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক গঠন করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা জরুরি হয়ে পড়ছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার, বেবি ফুড ও মেডিসিন এর সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বন্যা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়াতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর রিফাত আনোয়ার, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা, নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) বিজয়া সেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
top