নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্থলপথে ব্যবসা বাণিজ্যের আরো প্রসারের লক্ষ্যে সরকার নতুন নতুন স্থলবন্দর গড়ে তুলছে। তিনি এ সময় যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। প্রতিমন্ত্রী বুধবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত উদ্বোধনী ফলক স্থাপন ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস রিজভী আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাসান আলী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মলিন মুখের পরিবর্তন করে সুন্দর হাসিমুখের চেহারা দিয়েছেন। এ সুন্দর পরিবর্তনকে ধরে রাখতে পারবে একমাত্র আওয়ামী লীগ, একমাত্র নৌকা, একমাত্র শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবীতে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। আশা করি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ক্রমাগত ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বে ২০০৯ সাল হতে নতুন বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসহ নৌপরিবহন খাতে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১ দশমিক ১৪ একর জমির উপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫ দশমিক ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।