দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই ৫০-৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।“
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তাদের কারও কারও শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গেছে।
শনিবার বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের এখানে ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। একজন ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। বাকি ২৯ জনের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। রোগীদের অনেকেরই ৫০-৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।“
শনিবার ৪৫ বছর বয়সী মনসুর নামের এক ব্যক্তি মারা যান, যার শরীর শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল; আর শুক্রবার মারা যাওয়া শুক্রবার সোলাইমান মোল্লার (৪৫) নামে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এছাড়া আজিজুল হক নামে ২৪ বছর বয়সী একজনকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তার শরীরের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কেউ একজন। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখতে। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
রোগীদের প্রায় সবার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে সে সময় জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এছাড়া বার্ন ইস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ কনসালটেন্ট একরামুল হক সজলও বলেছিলেন আইসিইউতে থাকা কারোর অবস্থাই ভালো নয়।