উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গোমতী ও সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা প্লাবিত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়ও বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এছাড়া শশীদল ইউনিয়নের সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই দুই নদীর বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে।
বন্যার কারণে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও রাস্তাঘাট সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়দের অনেকেই জীবন বাঁচাতে তাদের ঘর তালাবদ্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
উপজেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঢাকা থেকে ড্রাম এনে ভেলা তৈরি করে উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোমতী ও সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ৭০ হাজার পরিবারের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার পরিবারকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা দিনরাত বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে কাজ করছে।