গত ২৪ অক্টোবর দৈনিক ভোরের কাগজ ও আমাদের সময় পত্রিকায় (সদরঘাটে লঞ্চ ছিনতাই, থানায় অভিযোগ) ২৫ অক্টোবর, সময়ের আলো পত্রিকায় (সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছিনতাইয়ের অভিযোগ), দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় (কেরানীগঞ্জে লঞ্চ ছিনতাই করল বিএনপি নেতা) ২৭ অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় (সদরঘাটে লঞ্চ ছিনতাই), দৈনিক তৃতীয় মাত্রা, এবং এশিয়া টিভি অনলাইন কতৃক প্রকাশিত (দশ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছিনতাই) ও ফেইসবুকে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছিনতাই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. মিনজু ঢালী । তিনি বলেন, উল্লেখিত পত্রিকা বা সোশ্যাল মিডিয়া আমার বক্তব্য না নিয়ে একতরফা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে । তাই আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে : জাহিদ ৮ নামের লঞ্চটির মালিক আমার মেয়ে মিম আক্তার । গত ০১/০১/২০২১ তারিখে পারিবারিকভাবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম কর্তৃক সরার মাধ্যমে জাহিদের সাথে আমার মেয়ে মিম আকতারের বিয়ে হয়। জাহিদ বিবাহিত এবং তার ঘরে সন্তান রয়েছে এজন্য মেয়ের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রথমে আমরা এই বিযেতে রাজি ছিলাম না । পরে জাহিদ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিরাপাত্তার জন্য তার একক মালিকানাধী যাত্রীবাহী লঞ্চ জাহিদ (৮) নামক লঞ্চটি আমার মেয়ের নামে লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে গত ০১/০১/২০২১তারিখে পারিবারিকভাবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম কর্তৃক সরার মাধ্যমে জাহিদের সাথে আমার মেয়ে মিম আকতারের বিয়ে হয়। এরপর জাহিদ গত ০৭/০১/২০২১ তারিখে তার মালিকানাধীন জাহিদ ৮ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চটি ৩শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দানপত্র দলিল নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমার মেয়েকে লিখে দেন। লঞ্চ লিখে দেওয়ার পর গত ২০/০৩ /২০২১ তারিখ ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের কামিননামা সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন সংসার করার পর জাহিদ আমার নিকট ৩০ লক্ষ টাকা ব্যবসার জন্য যৌতুক দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে জাহিদ আমার মেয়ে মিমের উপর অমানুষিক নির্যাতন করে। এব্যাপারে জাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি আমরা জানতে পারি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাহিদ তার সকল সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে । এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে জাহিদ (৪) নামের একটি লঞ্চ বিক্রি করে দিয়েছে এবং আমার মেয়ের নামে থাকা জাহিদ (৮) নামক লঞ্চটি বিক্রির পায়তারা করছে । তাই ২৩ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে লঞ্চে থাকা তার বেতনভুক্ত স্টাফদের মাধ্যমে লঞ্চটি এনে নিরাপদে রেখেছে । কোন ছিনতাই বা মারপিটের ঘটনা ঘটেনি । মিনজু ঢালী আরো বলেন, লঞ্চের সাবেক মালিক আশরাফুল আলম জাহিদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন বশত: সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ও আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে । তিনি প্রকৃত ঘটনা না জেনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান ।