ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী দখলমুক্ত করতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কচুরীপানা অপসারন করেছেন। তাঁরা অবৈধ মাছের ঘের তুলে নিতেও আল্টিমেটাম দেয়। সোমবার বেলা ১২টায় শিকারীপাড়া হাগ্রাদী বাজার এলাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন তাঁরা। প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী জুড়ে এ অভিযান চালায় শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী মহল শিকারীপাড়া দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর একটি অংশ দখল করে মাছ চাষ করছেন। নদীতে বাঁধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে নদীর পানি জনসাধারন ব্যবহার করতে পারেনি দীর্ঘদিন। আমরা চাই নদীটি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। কারন এক সময় প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত এখানে।
শিকারী পাড়া হাগ্রাদী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, এক সময় প্রবল স্্েরাত ছিলো ইছামতি নদীতে। একটি মহল ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে একযুগ ধরে নদীর হাগ্রাদী থেকে শিকারীপাড়া বাজার পর্যন্ত দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। তাঁরা লাভবান হলেও নদীটি তাঁদের দখল ও দূষনে আজ মৃতপ্রায়।
ব্যবসায়ী মো. বাদল মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুর রহমান পেয়ারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদী দখল করে মাছ চাষ করছে। নদীটি দূষিত ও আর্বজনায় ভরে মৃত এখন। আমরা চাই নদীতে আবার প্রান ফিরে আসুক। এটাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, শীঘ্রই নদীকে দখল মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।